বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, হজের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোনো হজযাত্রীকেই এয়ারলাইন্সের টিকেট নিয়ে কোনো প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি। এবারও তারা টিকেট নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহণের সকল বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য হজযাত্রীগণ ও সকল অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
রোববার (২১ মে) হজ ফ্লাইট এর উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।
এসময় মাহবুব আলী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহণ কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বছরও হজযাত্রী পরিবহণে বিমান তাদের চারটি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট পাঁচটি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাঁদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে হজযাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজ যাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।
এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী পরিবহণ করবে বিমান। বাকি হজযাত্রী পরিবহণ করবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস। বিমান প্রি-হজে ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি ও পোস্ট-হজে ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি করে মোট ৩৩০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বিমান গত বছরের মতো এবারও ঢাকা থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও জেদ্দায় ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :