রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে ট্রেন চলাচল। আর দুই মাস পরই আগস্টে ঢাকার সঙ্গে মাওয়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হবে। এর পরের মসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে রেল চলছে ঢাকা-ভাঙা রুটে। আগস্টে ঢাকা-মাওয়া এবং সেপ্টেম্বরে ঢাকা-ভাঙা রেল চলাচল শুরু হবে।’
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল এলাকায় পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মাওয়া থেকে-ঢাকা পর্যন্ত ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করতে পারব। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত (২য় অংশের) কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। প্রায় সকল ব্রিজ হয়ে গেছে। ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারব বলে আশা করছি। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চালু হলে অনেক রাস্তা কমে আসবে। সময় বাঁচবে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। পরবর্তীতে ভাঙ্গা থেকে পায়রাবন্দর হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি বৈরী সময়ে আমরা এ প্রকল্পের কাজ করছি। একদিকে কোভিড। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে একটি বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় রেলকে মৃত সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতে রেল যেভাবে আমরা পেয়েছি, পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে রেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু রেলকে বিস্তৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রেল শুধু পিছনের দিকে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যে দেশ যত উন্নত, সে দেশে রেল তত উন্নত।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার শাহজাহান, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সী প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/এ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :