গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, গুজবে কান দেবেন না। দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। কোন দুষ্টু লোকের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। যে কারণে তারা দেশকে ধ্বংস করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাবধান, দেশ ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।
রবিবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত বজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করবো, কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন কোন বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত হননি। এবারো বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, আগামীতে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করবো। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রত্যেকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যাতে করে কোন ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান।
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে বলে দাবি করে আবদুল মোমেন বলেন, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সব দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যে সব দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার জনগণ কষ্টে আছে।
বাজেটে আয় ও আয়কর দাতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সব বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেন। আর যারা ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে লেনদেন করেন, তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।
সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আরো দক্ষ হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের ব্যয়ও বাড়ে। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মাঝে শেষ করার জন্য আরও বেশি তদারকির প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :