মানহীন ও নকল কসমেটিকস বাজারজাত ঠেকাতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘ঔষধ ও কসমেটিকস’ বিল-২০২৩ পাসের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর, রাহ্গির আলমাহি এরশাদ ও মো. আমিরুল আলম মিলন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল- ২০২৩’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বিল দু’টি পাসের সুপারিশ সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে প্রণীত ‘ঔষধ ও কসমেটিকস’ বিলটি গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ২৪ মে বিলটি নিয়ে প্রথম দফা আলোচনার পর সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. রুহুল হকের নেতৃত্বে একটি সংসদীয় সাব কমিটি গঠন করা হয়। সাব কমিটির সুপারিশের আলোকে কিছু সংযোজন ও বিয়োজনসহ বিলটি পাসের সুপারিশ সংসদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। এজন্য ঔষধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে। বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বিদেশে চিকিৎসকসহ মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে গত ১৪ জুন জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল-২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে। সেই কাউন্সিলই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো দেখভাল ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এই কাউন্সিল হবে ১৯ সদস্যের। এর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :