বাংলাদেশের ৫ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য ফাঁসের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা এবং যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
সোমবার (২৪ জুলাই) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতা মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তাদের টেকনিক্যাল টিমের সাথে তদন্ত পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়, যথাযথ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকায় তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো যথাযথভাবে তদারকির অভাব পরিলক্ষিত হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচটি সুপারিশসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা এড়াতে আরও ছয়টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ৫ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে, গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটিতে ঢুকে ৫ কোটি নাগরিকের নাম, জন্মতারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন।
সম্প্রতি এটি দেখতে পান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। তার বরাতে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ। এরপর সংবাদমাধ্যমে খবর এলে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :