ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, ‘অক্টোবরের মধ্যভাগে শেষ হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল রুটের নির্মাণকাজ। এর কয়েকদিন পরই উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’
বুধবার (৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এমএএন ছিদ্দিক জানান, ‘অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রথমে আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল- এই তিন স্টেশনে ট্রেন থামবে। পর্যায়ক্রমে বাকি স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হবে। সেজন্য দুই মাস সময় লাগবে। জানুয়ারির দিকে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে।’
‘মতিঝিল পর্যন্ত সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ট্রেন চলবে কি না?’ এ প্রশ্নের জবাবে ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রথমে আমরা সীমিত আকারে সীমিত সময়ের জন্য ট্রেন চালাব। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে ট্রেনের সময়সূচিও কমিয়ে আনা হবে। আমরা দেখেছি বিকালের দিকে অনেক যাত্রী হয়। সেখানে ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে আনা দরকার। আমরা সেক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সিও কমিয়ে দেবো।’
বুধবার অনুষ্ঠানের শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ রুট অ্যালাইনমেন্টে সড়কের মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমীন উল্লাহ নূরী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল পথ নির্মাণের কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দিবেন, সেদিনই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন হবে।’
সচিব আরো বলেন, ‘শুরুতে সবগুলো ট্রেন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে না। কিছু ট্রেন মতিঝিল যাবে, কিছু আগারগাঁও পর্যন্ত যাবে। ট্রেনের নম্বর থাকবে। সে নম্বর অনুযায়ী কোনো ট্রেন আগারগাঁও পর্যন্ত, কোনো ট্রেন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে সেটা বলা থাকবে। যারা মতিঝিল পর্যন্ত যাবেন, তারা ওই ট্রেনে চড়বেন। এটা সাময়িক বিষয়, জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ট্রেন চলবে।’
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, মেট্রোরেলের কাজ করার সময় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭৭টি গাছ কাটা পড়ে। এ জন্য ওই অংশে মেট্রোরেলের ডিপো, স্টেশন প্লাজা, সড়কের মিডিয়ানে ৫ হাজার ৭৪৭টি গাছ লাগানো হবে। এছাড়া, ২৪ হাজার ৭১৮টি শোভাবর্ধনকারী গাছ থাকবে।
বৃক্ষরোপণের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে। এ জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়া হয়েছে, তারা আগামী ৩ বছর বৃক্ষরোপণ ও গাছের পরিচর্যা করবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :