প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। আর যাদের সৃষ্টি অবৈধভাবে ক্ষমতা অধিকারীর হাত থেকে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের যাত্রা শুরু হয়েছে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া ও কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, তাদের মুখে আর যা-ই হোক গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
তিনি বলেন, তাদের কিছু প্রভু আছে, তারা আবার একই সঙ্গে সুর মেলায়। তাদের প্রভুরা বলছে, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নাকি প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। সে সব লোকের কাছে বা সেসব দেশের লোকদের আমার প্রশ্ন: যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়, জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতাকে হত্যা করে মার্শাল ল’ জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিল, যখন এরশাদ মার্শাল ল’ জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিল, তখন কারা কোথায় ছিল।
আমরা যখন এ মিলিটারি ডিকটেটরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, কই তাদের তো তখন সে চেতনা দেখিনি। তখন তাদের কথা তো আমরা শুনিনি।
‘আজ তারা নির্বাচন সুষ্ঠু চায়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা যে নির্বাচন করেছিল তা তো আমরা দেখেছি। জিয়াউর রহমানের তিন তিনটি নির্বাচন, বিএনপির চারটি নির্বাচনে কী হয়েছিল সেটি আমরা দেখেছি। তখন তারা কোথায় ছিল,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসব নির্বাচনে কীভাবে ভোট চুরি করে সেটা তো আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আজ যারা বাংলাদেশে টর্চলাইট দিয়ে নির্বাচন খুঁজছে, তখন তারা কোথায় ছিল? তখন কি তারা অন্ধ ছিল যখন এরশাদ নির্বাচন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট দেবে বলেও না দিয়ে বন্ধ করে দিল। তখন তো তাদের এসব চাপ দেখিনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :