AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের রুট দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:৪৪ পিএম, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের রুট দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল

এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়া অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাংলাদেশের একটি মানব পাচার চক্রের সন্ধান পান মার্কিন কর্মকর্তারা। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ ঘটনায় গত জুন মাসে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করে ঢাকার পল্টন এলাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং আকলিমা আক্তার (বিউটি) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। পুলিশের এই বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক আহমেদ বলেন, ‘বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়ে সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বহু বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাহায্য করে আসছে। আমরা কেবল দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ ডিবির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে, রুহুল আমিনসহ চক্রের সদস্যরা ১০০ জনের বেশি নাগরিককে ইতিমধ্যে গায়ানা ও সুরিনামে নিয়েছে।

 

মামলার তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা লোকজনকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বড় অঙ্কের টাকা নেন। এরপর প্রথমে তাদের নিয়ে যান ভারতের নয়াদিল্লিতে। সেখান থেকে ভ্রমণ ও ব্যবসায়ী ভিসায় নেওয়া হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। পরে নতুন বোর্ডিং পাস ও নতুন টিকিটে তাঁদের কোপা ও ক্যারিবিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে নেওয়া হয় গায়ানা ও সুরিনামে। সেখান থেকে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করান।

 

অবৈধ পথে গায়ানায় প্রবেশের অভিযোগে গত ১২ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে দেশটির রাজধানী জর্জ টাউনের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে রুহুল আমিন, আকলিমা ও ফাহাদ হোসেন নামের তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করে মার্কিন দূতাবাস। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরিফ ও সনেট নামে আরও দুজনের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

 

রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ১০ জুলাই। তার জাপান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কার্যালয় থেকে একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। রুহুলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে যাত্রাবাড়ী থানায় আরও একটি মানব পাচারের মামলা রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে রুহুলের আইনজীবী মোহাম্মদ জুয়েল  বলেন, তার মক্কেল মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি কোনো বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাননি। তবে গায়ানায় বৈধভাবে লোক পাঠিয়েছেন।

 

কুমিল্লার যুবক ভুক্তভোগী মোফাজ্জল হোসেনের স্বপ্ন ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে জীবন বদলে ফেলবেন। এ জন্য শহীদুল্লাহ মজুমদার নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের সঙ্গে ৪০ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু মোফাজ্জল মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করে আবার দেশে ফিরে এসেছেন। এ ঘটনায় গত ৫ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেছেন তিনি।

 

একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা

Link copied!