ডাকঘরের পালকে যুক্ত হলো আরও ৩০টি নতুন ডাকভবন। এর মধ্যে পুণনির্মিত ২৪টি এবং নবনির্মিত ৬টি ডাকঘর ভবন রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ রোববার ঢাকার আগারগাঁয়ে ডাক ভবন মিলনায়তনে ৩০টি ডাকভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ মে ডাক অধিদফতরের দৃষ্টিনন্দিত ডাকবক্সের আদলে নবনির্মিত সদর দফতর ‘ডাকভবনের’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩০টি ডাকঘর ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি। ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত যুগান্তকারী বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় পরিচালিত সমীক্ষার ভিত্তিতে পথনকশা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই ।‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ‘ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত পথনকশা ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ‘হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেওয়ার মতো দুরূহ কাজটিও ডাকঘর ইতোমধ্যে শুরু করেছে।
করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।’ উপনিবেশ আমলে সৃষ্ট অবকাঠামো কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে মিলে না উল্রেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডাকঘরকে একটি কার্যকর সেবা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে সরকার বদ্ধপরিকর।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিনাত আরা এবং বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বক্তারা স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকা ডাক সেবার জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
নবনির্মিত ৬টি ডাকঘর ভবনের মধ্যে নরসিংদী প্রধান ডাকঘর. কিশোরগঞ্জ প্রধান ডাকঘর, ঘোড়ামারা প্রধান ডাকঘর, সুনামগঞ্জ প্রধান ডাকঘর, মোহাম্মদপুর টাউন সাব পোস্ট অফিস উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আরও ৩৪টি ডাকঘর ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। পুননির্মিত ডাকঘর ভবন সমূহের মধ্যে ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, কৃষ্ণপুর, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, কামারখালী, আলফা ডাঙ্গা, কাশিয়ানী, মকসুদপুর, মাগুরা, পীরগাছা, মুরাদনগর, দিঘীনালা, রাজৈরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারে ২৪টি ডাকঘর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরে মন্ত্রী পর্দা টেনে ৩০টি ডাকঘর ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :