বকেয়া রয়েছে এমন বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস পাবে না। বরং ওসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর পাওয়া মেলেনি।
বর্তমানে ৩,৩৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বেসরকারি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ২,৫৯৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি আইপি বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস ব্যবহার করে। ছোট আইপিপি (এসআইপিডি) চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, যার উৎপাদন সক্ষমতা ৯৯ মেগাওয়াট। রয়েছে ২২৬ মেগাওয়াটের ৩টি কুইক রেন্টাল এবং দুটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
বেসরকারী কেন্দ্রগুলো নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এসব কোম্পানির দৈনিক কমপক্ষে ১৬৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
গ্যাসের পাশাপাশি আমদানি করা হচ্ছে এলএনজি। এছাড়াও দেশের মধ্যে থাকা বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে গ্যাস কিনে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করছে সরকার।
কিন্তু নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় পেট্রোবাংলা যেমন এলএনজির দাম পরিশোধ করতে পারছে না, তেমনি বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিরও বিলও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য জ্বালানি বিভাগ থেকে আইপিপি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল আদায়ের লক্ষ্যে এর আগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করেও বিল আদায়ে বড় কোনও অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।
জ্বালানি বিভাগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল আদায়ে তেমন কোনও সাফল্য নেই।
জ্বালানি বিভাগের বৈঠকে আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, এভাবে লাইন কটা কঠিন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইন কাটলে সেটি একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটা হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হতে পারে।
জানা গিয়েছে, এক বছর ধরেই বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে পিডিবি সমস্যা করছে। পিডিবি যেহেতু বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের বিল সময় মতো দিচ্ছে না, ফলে তারাও (বেসরকারি কোম্পানি) গ্যাসের বিল দিতে পারছে না। এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.চ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :