ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, তাঁকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।
এরপর আজ সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের দেখা করে ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দুই ছাত্রলীগ নেতার সাক্ষাতের পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে—এমন খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, শাহবাগ থানার ওসির (তদন্ত) কক্ষে গত শনিবার রাতে এই মারধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা গিয়ে থানা থেকে আক্রান্ত নেতাদের উদ্ধার করেন।
পুলিশের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের তিন নেতা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে গেছেন।
ভুক্তভোগী নেতাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘটনার জেরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আর ছাত্রলীগ নেতাদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আজিজুল।
এদিকে ঘটনা তদন্তে গতকাল রোববারই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (অপারেশনস) প্রধান করে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :