কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ড্রাগন ফলের উৎপাদন ২০ হাজার টন, যার বাজার মূল্য ৬০ কোটি টাকা। এছাড়াও চলতি অর্থ বছরে সুপার সুইট খ্যাত এমডি-২ আনারসের আড়াই হাজারটি ও বারোমাসি কাঁঠালের ৯১২৬টি প্রদর্শনী কৃষক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এরআগে বিকাল চারটায় স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি বলেন, `বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প” সারাবছর ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ফল চাষীদের সহায়তার লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে দেশে ফলের উৎপাদন ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৮ বছরে ফলের উৎপাদন ৫০ লাখ টন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে কৃষক পর্যায়ে প্রকল্পের শুরু থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৭৪টি মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ২ হাজার ১২৬টি প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হবে। এ সব প্রদর্শনী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে চারা-কলম, সার, কীটনাশক বিতরণ করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে আম প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার অবদান রাখছে।
বাণিজ্যিক ফল প্রদর্শনীল কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে কৃষক পর্যায়ে প্রকল্পের শুরু হতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজারটি বাণিজ্যিক ফল বাগান প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আরও সাড়ে চার হাজার বাণিজ্যিক প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে পেয়ারা এ বছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অবদান রাখছে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :