পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। ইসি একটি আইনের আওতায় গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেন না। এমনকি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনো সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে (নির্বাচন সংক্রান্ত) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার সময় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরও জোরদার ও মজবুত করতে চান।’
একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে পরামর্শ দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেকগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেছি। যদি পরামর্শটি বাস্তবসম্মত হয় তবে আমরা অবশ্যই সেটি গ্রহণ করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সম্পর্কে মোমেন বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করবে তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বিঘ্নিত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :