AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইউনেস্কো: পরিবেশমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৫:০৩ পিএম, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইউনেস্কো: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনের সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকারের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের ৪৫ তম বর্ধিত সভায় গত এক দশকে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। সভায় পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে কার্যকর সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এর সম্পদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানানো হয়েছে। ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের অংশ হিসাবে ছয়টি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

 

বুধবার (৪ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে সুন্দরবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সফলতা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং এ পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

শাহাব উদ্দিন বলেন, সুন্দরবনের ওপর উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রভাব নিরসনের লক্ষ্যে ২০২১ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেসমেন্ট করা হয় এবং এর আলোকে স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুত করায় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। কোভিড-১৯ এর কঠিন সময়ে ন্যাশনাল অয়েল অ্যান্ড কেমিক্যাল স্পিল কন্টিনজেন্সি প্ল্যান ২০২০ গ্রহণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব প্রশমণে এটির বাস্তবায়নের জন্য কমিটি সভায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে ৷ ভারত ও বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য উন্নয়নে যৌথ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং এই কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

 

মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক গাছ কাটা, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। সুন্দরবনে মোট আয়তনের ৫৩.৫২ শতাংশ রক্ষিত এলাকা হতে সকল ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার বন্যপ্রাণীর প্রধান প্রজননকাল জুন, জুলাই এবং আগস্ট এই ৩ মাস সুন্দরবন হতে সকল ধরনের বনজদ্রব্য সংগ্রহ এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২১ সাল হতে রাস মেলা বন্ধ করায় সুন্দরবনে এসময় পূর্বের মতো হরিণ শিকারের কোন ঘটনা ঘটেনি এবং সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়েনি।

 

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাঘ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ টাইগার একশন প্লান ২০১৮-২০২৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাঘ জরীপ, বাঘের শিকার বিষয়ক প্রাণী জরীপ, বাঘ মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ নাইলনের বেষ্টনী নির্মাণ, জলোচ্ছ্বাসের সময় বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য মাটির উচু টিলা নির্মাণসহ বাঘ সংক্রান্ত অন্যান্য গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

বনমন্ত্রী বলেন, সরকার সুন্দরবনে স্মার্ট পেট্রোলিং ব্যবস্থা চালু করেছে এবং এর মাধ্যমে সুন্দরবনের বিভিন্ন অপরাধ দমনে উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়া গেছে। জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২৩ পর্যন্ত স্মার্ট পেট্রোলিং এর মাধ্যমে ২ হাজার ৪৯৮ জন অপরাধিকে আটক  এবং ১১৬৯টি ট্রলার/জলযান জব্দ করা হয়েছে। সুন্দরবনে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সুপেয় পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৪টি নতুন পুকুর খনন এবং ৮৪টি বিদ্যমান পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বন বিভাগের বিভিন্ন ক্যাম্প, স্টেশন, রেঞ্জে অকেজো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুন: স্থাপন করা হয়েছে। সহব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ, ইকোলজিক্যাল মনিটরিং এর ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তুত এবং টহলের জন্য জলযান ক্রয় করা হচ্ছে। ইকোটুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে কাজ চলমান আছে।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে সুন্দরবন ও এর জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার মোট ২ শত ৯৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রতিবেশ, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, বিজ্ঞান ভিত্তিক বন ব্যবস্থাপনা, ও উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

 

বনমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ সুন্দরবনের অধিকতর টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে সুন্দরবনের ভূমি ও সামুদ্রিক ব্যবস্থার বাস্তুসংস্থান উন্নয়নে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা অনুযায়ী আরও গবেষণা পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকায় ভবিষ্যতের সমস্ত শিল্প কারখানা ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ কালে সুন্দরবনের ওপর প্রভাব মূল্যায়নে বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে। সুন্দরবনের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহতভাবে বাড়ানো হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা

 

Link copied!