রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম বুঝে নেওয়ার পর এখন পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় ৩৩তম বাংলাদেশ। তবে তেল-কয়লার মতো ইউরেনিয়ার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। উৎপাদনে যেতে পার হতে হয় কয়েকটি ধাপ। দফায় দফায় নিতে হয় আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুমতি। তাই সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে মিলবে বিদ্যুৎ।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় প্রস্তুত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে মিলবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও ৭০ ভাগ শেষ। আর এ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মূল্যেই পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের এই আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ।
প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, যেদিন আমরা চুল্লিতে জ্বালানি দেব, সেদিনই আমরা বলে দিতে পারব তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কতো। মানুষ তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা দেখতে পারবে। প্রকল্পের বাইরে মানুষ এখন যেভাবে বসবাস করছেন, কৃষি কাজ করছেন সেভাবেই তাঁরা বাস করতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পকে ঘিরে যেভাবে নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে তাতে করে আশপাশের মানুষের দূষণের কোনো ভয় থাকবে না।
জ্বালানি হিসেবে কয়লা-তেলের চেয়ে সাশ্রয়ী এই ইউরেনিয়াম। এক কেজি ইউরেনিয়ামের জ্বালানি সক্ষমতা ৬০ টন ডিজেল ও ১০০ টন কয়লার সমান।
শৌকত আকবর বলেন, অন্যন্য যেসব বিদ্যুৎ প্রকল্প আছে তার থেকে এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ আরও কম দামে পাওয়া যাবে।
কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিবেশের ক্ষতি হলেও পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশবান্ধব।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :