AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তৃতীয় টার্মিনাল: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরো একটি উপহার প্রধানমন্ত্রীর


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:৪৩ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
তৃতীয় টার্মিনাল: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরো একটি উপহার প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব আকাশে শেখ হাসিনার উন্নয়ন স্মারকের যাত্রা শুরু

২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত তৃতীয় টার্মিনাল

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিমানবন্দর হবে শাহজালাল

 

সময়ের পিঠ বেয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন, পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় প্রধান বিমান বন্দরের যাত্রীসেবা এবং পণ্যপরিবহনে কুলিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমান হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দুটো টার্মিনাল ঘিরে  যাত্রী ও অন্যান্য সেবার সক্ষমতা ৮০ লাখ। এ অবস্থায় তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতেই শেখ হাসিনার এই যুগান্তকারী। বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে পতাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়ে বেড়াচ্ছেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের মধ্য উন্নয়নের ল্যান্ডস্ক্যাপ বিশ্ব আকাশে আরও প্রসারিত। উন্নয়ন সক্ষমতা এবং স্বপ্নের বাস্তবায়নের যৌথ বসবাসের নাম  বাংলাদেশ তা শেখ হাসিনা জাতির সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হলেন। এই গর্বিত অর্জনের মালিক বাংলাদেশবাসী এবং বাস্তবায়নের মহানায়ক শেখ হাসিনা। এটি হয়ে ওঠবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিমান বন্দরের পাবে। 

 

সকল আয়োজন সম্পন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শনিবার খুলে যাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের আরও একটি স্মারক। যার রূপকার শেখ হাসিনা। দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধন শেখ হাসিনা। জমকালো এই আয়োজনে দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন। থাকবেন উড়োজাহাজ কোম্পানির মালিকসহ সংশ্লিষ্টসহ দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক নাগরিকবৃন্দ। 

 

আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা গুণগতমান এবং সক্ষমতা আরও তিন ধাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে  ২০১৭ সালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় হাসিনা সরকার। প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্মাণকাজে হাত লাগানো হয়। ব্যয়ের মধ্যে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার ঋণ এবং বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। টার্মিনালটির নির্মাণকাজে রয়েছে বিশ্বখ্যাত সংস্থা জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে ২০৩৫ সাল নাগাদ যাত্রীসেবা ২৫০ কোটিতে উন্নীত হবে।

 

যে কোন যাত্রী  শাহজালালের এই তৃতীয় টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ করে ‘নান্দনিক নকশায়’ মুগ্ধ হবেন। তার ভ্রমণ হয়ে উৎফুল্ল এবং রোমাঞ্চকর। এমন নান্দনিক ও মনোমুগদ্ধকর সাজসজ্জা এই অঞ্চলের কোন বিমান বন্দরে রয়েছে বলে জানা নেই। আধুরক সব যন্ত্রপাতিতে সংযোজিত হচ্ছে। থাকছে  ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল কার পার্কিং। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কাস্টম সম্পাদনের  সুবিশাল হল ও ৬টি চ্যানেল, ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার সেবা দেবে। এখানে থাকছে আগমনী যাত্রীদের সুবিধার্থে ১৬টি লাগেজ বেল্ট।  অতিরিক্ত ওজন রয়েছে এমন ল্যাগেজের জন্য চারটি আলাদা বেল্টের ব্যবস্থা। থাকবে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ।

 

অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে। ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ বহির্গমনের জন্য চেক-ইন কাউন্টার থাকবে ১১৫টি।

 

তৃতীয় টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে ভিভিআইপি ও ভিআইপি যাত্রীদের বিশেষ ব্যবস্থা। মোট কথা একটি আন্তর্জাতিক গুণগতমানের বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার যে উন্নত পরিষেবা থাকে তার কোনটিরই কমতি থাকছে না শাহজালালে।

 

শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মতে,  বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০-১৩০টি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং করা যাবে।

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটির গোড়া পত্তন হয় ১৯৪১ সালে। সেময়  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামানোর জন্য রানওয়ে তৈরি করেছিলো। ১৯৪৭ সালে তেজগাঁও বিমানবন্দরটি দেশের  প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে  নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করা হয়।

 

নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বর্তমান এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন নির্মিত করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল এবং যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ফের বিমানবন্দরের কাজ শুরু করে। ১৯৮০ সালে বিমানবন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। 

 

১,৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট উঠা-নামা করে থাকে। চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে। এ বিমানবন্দর দিয়ে বার্ষিক প্রায় ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক ও ১০ লক্ষ অভ্যন্তরীন যাত্রী এবং ১৫০,০০০ টন পন্যপরিবাহিত হয়।  শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর থেকে  ইউরোপ এবং এশিয়ার দেশগুলোতে চলাচল করে।

সূত্র- কালের সমাজ

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা

Link copied!