রাজধানীর কাকরাইলে এস এ পরিবহনের ভবনে লাগা আগুন আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষনিক জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লেগে পুড়ে গেছে বহু মালামাল। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গোডাউনে এখনো আতশবাজি বা পটকা ফোটার মতো শব্দ পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, পার্সেলের মধ্যে আতশবাজি বা পটকা ধরনের কিছু থাকতে পারে।
এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, কাকরাইলে এস এ পরিবহনের গুদামে ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। আমাদের প্রথম ইউনিট এখানে ১০টা ১৫ মিনিটে উপস্থিত হয়। এরপর একে একে ১২টি ইউনিট যায়। ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, গোডাউনে পার্সেলের মধ্যে আতশবাজি বা পটকা ধরনের কিছু থেকে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এস এ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ে আগুন নেভানোর নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি বলে জানান মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, তদন্তের পর আমরা বলতে পারবো আগুন নেভানোর জন্য তাদের কি রকম ব্যবস্থা ছিল।
এস এ পরিবহনের পাশে একটি পেট্রোল পাম্প থাকলেও সেই পর্যন্ত আগুন যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক। তিনি বলেন, নিয়ম মেনে পেট্রোল পাম্পে স্থাপন করা হয়েছে কি না আমরা এটি পরবর্তীতে দেখবো।
কি কারণে আগুন লেগেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কারণে আগুন লাগতে পারে। ধূমপান কিংবা কি কারণে আগুন লেগেছে এটা আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, তদন্ত করে পরবর্তীতে বলতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, এখানে কি ধরনের কেমিকেল ছিল সেটা ওনাদের (এস এ পরিবহনের কর্মকর্তা কর্মচারী) সঙ্গে কথা বলার পর আমরা বলতে পারবো।
সাধারণ মালামালের সঙ্গে কোনো ধরণের বিস্ফোরক পটকা, আতশবাজি কিংবা কেমিকেল রাখা একেবারেই উচিত নয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক।
তিনি বলেন, পটকা বা আতশবাজি বিশেষভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। যদি তারা সাধারণ মালামালের সঙ্গে রেখে থাকে, তবে কাজটি ঠিক করেনি। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বের করে আমরা পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবো।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :