AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মেট্রোরেল: উত্তরা-মতিঝিল যাত্রা মাত্র ৩০ মিনিট


Ekushey Sangbad
আমিনুল হক ভূইয়া
১২:৫৬ পিএম, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
মেট্রোরেল: উত্তরা-মতিঝিল যাত্রা মাত্র ৩০ মিনিট

  • যানজটমুক্ত গতিশীল যাত্রা কর্মঘণ্টা ও অর্থনৈতিক সাশ্রয়
  • জনবহুল নগরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবতর সংযোজন
  • প্রতীক্ষার দিন গণনার বিদায়ে সাধারণের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ


উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সভ্যতার প্রতীক। কোন নগরীর প্রায় ২৫ শতাংশ জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়, রাস্তা ও যানবাহন চলাচলের জন্য।  একটি নগরীর স্বাভাবিক যান চলাচলের এটাই উপযুক্ত মাপকাঠি।

কিন্তু বহু নগরীতেই পরিকল্পনা ও জায়গার অভাবে এই পরিমাণ জায়গা মেলে না। একারণে যানজট-জনজটে বিঘ্নঘটে স্বাভাবিক জীবযাত্রা।  তাতে কর্মঘন্টা ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  

বাংলাদেশের জনবহুল নগরী ঢাকায় জীবনযাত্রা গতিশীল এবং অর্থনৈতিক বিকাশে ২০১৩ সালে জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় এবং প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করে হাসিনা সরকার।

সময়টা ২০১৬ সালের ২৬ জুন। ঢাকা মেট্রোরেল (এমআরটি)  এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

নির্মাণ কাজ শুরুর মাত্র  পাঁচ বছরের মাথায় ২০২২ সালের বিজয়ের মাস ২৮ ডিসেম্বর এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সেই সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয় মেট্রোরেলের যুগে।

এরপর পর্যায়ক্রমে উত্তরা থেকে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেল। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় আগারগাঁও স্টেশন থেকে মেট্রোয় চড়ে প্রধানমন্ত্রী যাত্রা করে  মতিঝিল স্টেশনে পৌছাবেন। এরপর আরামবাগে উদ্বোধনী আয়োজনে যোগ দেবার। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধনের পর থেকেই সাধারণ যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।

অপরদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এম এন এ সিদ্দিক জানিয়েছেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন। এ লাইন হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

শুরুতে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার। এ অংশে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে ট্রেন থামবে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে ৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকলেও উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে যথারীতি রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের কথা ছিল গত ২০ অক্টোবর। পরে সেটি ৯ দিন পিছিয়ে ২৯ অক্টোবর করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর শিডিউলজনিত কারণে ২৯ অক্টোবরের পরিবর্তে ৪ নভেম্বর এ অংশের উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়।

২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে নগরবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার রুট বাড়ানো হয়।

বর্ধিত অংশের কাজ ২০২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার)।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেন ২ হাজার ৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কমে যাবে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। ওইদিন তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন।

মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিনে চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। এরপর আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং ১ মার্চ পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হয় ব্যস্ততম মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন। গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশন দুটিও চালু হয়।

সবশেষ গত ৩১ মার্চ মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন দুটিও খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনে যাত্রী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়। আজ শনিবার মেট্রোরেলের স্পর্শ করবে সর্বশেষ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা।

 

একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর

Link copied!