মাছের খনি চাঁদপুর। চাঁদপুরের তিন নদী ঘিরে নানা জাতের মাছের বিচরণ। মা ইলিশ রক্ষা এবং নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকার পর ২ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। সেদিন মধ্য রাত থেকেই মাছ ধরতে নদ-নদীতে নামেন জেলেরা। দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা ছুটে যান সাগরে।
এদিকে মেঘনা, পদ্মা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদী বিধৌত চাঁদপুর হচ্ছে মাছের খনি। ইলিশ মাছের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক আড়ৎ হচ্ছে চাঁদপুর। পার্শবর্তী অঞ্চল থেকে মাছের নিয়ে এই আড়তে আসেন মৎস্যজীবীরা।
মেঘনার তীরে চাঁদপুরের মৎস্য আড়তে বড় আকারের কাতল ও লালমুখ পাঙ্গাস মাছে সয়লাব। নদী থেকে তুলে আনা জীবীত মাছগুলো ঘিরে সাধারণ ক্রেতাদের ভীড় জমে ওঠে।
আড়ৎদাররা জানালেন, ইলিশের জালে ধরা পড়ছে ভালো মানের কাতলা মাছ। সঙ্গে জালে আটকাচ্ছে ৭-৮ কেজির লালমুখ পাঙ্গাস। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো দামে।
চাঁদপুর সদরের আনন্দবাজার ও রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় বড় আকারের ৪টি কাতল মাছ ধরা পড়ার খবর দিচ্ছেন জেলেরা। নদীর প্রতিটি কাতল মাছের ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি। গত কয়েকদিন বড় ধরনের পাঙ্গাস ধরা পড়ার পর এখন জেলেরা বড় আকারের কাতল মাছও পাচ্ছেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের অদূরে মেঘনা নদীতে তরপুরচন্ডি এলাকার জেলে ইসমাইলের জালে একটি কাতল মাছ ধরা পরে। ৯ কেজি ওজনের মাছটি আবুল খায়ের মৎস্য আড়তে নিলাম হয় ৩৫ হাজার টাকা মণ দরে কাতল মাছটি বিক্রি হয় ৮ হাজার টাকায়।
জেলেরা জানান, নদীতে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর মাছ ধরতে নদীতে নামেন তারা। ইলিশ জালে মাঝে মধ্য পাঙ্গাস, আইড় ও রুই-কাতল ও রিঠা মাছ ধরা পড়ে। চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বেশ কিছু পাঙ্গাস-আইড় মাছের পর নদীর কাতল মাছও পাওয়া গেল।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, এ বছর ইলিশ অভিযান সফল হওয়ায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন রকম বড় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশসব সব ধরনের মাছ বিচরণের সুযোগ পাওয়ায় জেলেরা সুফল পাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :