AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভের ডাক পোশাক শ্রমিকদের


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:৩৬ পিএম, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভের ডাক পোশাক শ্রমিকদের

ফাইল ফটো

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভায় পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

শ্রম প্রতিমন্ত্রীর মজুরি ঘোষণার পরপরই মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ‘গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন‍‍`-এর ব্যানারে মজুরি প্রত্যাখ্যান ও পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ।

এর প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

এর আগে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।

আজ সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠক শুরু হয় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে। আর বৈঠক শেষ হয়েছে বেলা দেড়টায়।

এদিকে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন দেশের পোশাকশ্রমিকেরা। এতে অনেক কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে চলতি সপ্তাহে বন্ধ কারখানাগুলো খুলতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গেত, গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দেশের পোশাকশ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছেন। ফলে বেশকিছু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে চলতি সপ্তাহ থেকে বন্ধ কারখানাগুলো চালু হতে শুরু করে।

২০২৩ সালে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য বাস্তবসম্মত নিম্নতম মজুরি কাঠামো প্রস্তাবনার জন্য শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো হচ্ছে:

১. গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাসিক মূল মজুরি সর্বমোট মাসিক মজুরির ন্যূনতম ৬১ শতাংশ করা।

২. গার্মেন্টস শ্রমিকদের পদ ও শ্রেণিবিন্যাসে গ্রেডিং সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে পূর্বের ৭টি গ্রেডের পরিবর্তে ৫টি গ্রেডে ভাগ করা।

৩. মূল মজুরির ওপর ১০ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।

৪. পর পর দুটি গ্রেডের মধ্যে নূন্যতম মজুরির পার্থক্য ১০ শতাংশ করতে হবে।

৫. নতুন শ্রমিকদের জন্য তিন মাস শিক্ষানবিশকাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

৬. পিস রেট বা প্রোডাকশন শ্রমিক: সোয়েটার কারখানা বা পিস রেটে কর্মরত শ্রমিককে প্রোডাকশন না থাকলে বিগত ৩ মাসের মজুরির গড়/৩ নম্বর গ্রেডের বেসিক মজুরি পরিশোধ, কাজের আগে রেটের ফয়সালা করা।

৭. উৎসব ভাতা: যে কোনো সম্প্রদায়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা স্ব স্ব সম্প্রদায়ের প্রধান দুটি উৎসবে প্রতিটিতে ৬ মাসের অধিক চাকরির ক্ষেত্রে এক মাসের মূল মজুরি হারে ২টি উৎসব ভাতা ও ৬ মাসের অনধিক চাকুরির ক্ষেত্রে প্রতিটিতে ১৫ দিনের মজুরি হারে ২টি উৎসব ভাতা প্রাপ্ত হবেন। শ্রমিকের উৎসব ভাতা ১ মাসের মূল মজুরির কম হবে না।

৮. স্বীয় পদে/গ্রেডে চাকরির সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

৯. পোশাক কারখানায় গ্র্যাচুইটি সিস্টেম প্রচলন করতে হবে। তবে অন্তর্বর্তীকাল হিসেবে ১০ বছরের অধিক সময় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সমান হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চাকরি অবসরের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

১০. মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ৬ মাস দিতে হবে।

১১. শ্রমিকদের পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষা ভাতা দিতে হবে।

১২. নতুন মজুরি নির্ধারণের পর যাতে স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ি ভাড়া না বাড়ে, তা তদারকি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

১৩. গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে (সরকারের ভর্তুকিমূলক পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা)।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

Link copied!