বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
শনিবার (১১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, `জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ শিরোনামের প্রেস ব্রিফিং আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি ও পরবর্তীতে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস ঘটনাবলি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। তবে, প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লিখিত কিছু পর্যবেক্ষণ তথ্যনির্ভর মনে হয়নি এবং এ কারণে এটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। প্রেস ব্রিফিংয়ের শিরোনাম- `বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিবাদ` ঘটনার প্রকৃত অবস্থাকে প্রতিফলিত করে না। গত অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে এবং তারপরে বাস্তবে যা ঘটেছে তা সঠিকভাবে বোঝার জন্য আমরা এখানে সেসবের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছি। নির্বিচার অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা এবং ভাংচুরসহ সকল ধরনের সহিংসতাকে `রাজনৈতিক প্রতিবাদ`- এর অন্তর্ভুক্ত করায় এই বিবৃতিটি অপরাধীদেরকে তাদের নৃশংস সহিংস কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারকের বাসভবনে হামলাকারী সকল দুষ্কৃতকারীকে বিএনপির কর্মী হিসেবে শনাক্ত করা হলেও বিবৃতিতে তার প্রতিফলন ঘটেনি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে-’’বিরোধী দলের কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে’’। এ ধরনের মন্তব্যে প্রকৃত অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিবৃতিতে “হামলাকারীদের সরকারি দলের সমর্থক বলে মনে করা হয়’’ মন্তব্য করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে জনমনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে।’
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন দলটির কর্মী–সমর্থকদের নিহত হওয়ার যে তথ্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের বিবৃতিতে রয়েছে– তার প্রতিবাদ করেছেন নাগরিক সমাজ। তাঁরা বলেন, ‘সহিংসতায় ১১ জনের মৃত্যুর খবরটি, বিশেষভাবে সহিংসতায় বিরোধী দলের ছয় সদস্য নিহত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। প্রকৃতপক্ষে “রাসেল হাওলাদার এবং ইমারান হোসেন’’ নামে দুই গার্মেন্ট শ্রমিক একটি পৃথক ঘটনায় মারা গেছেন। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা এবং তাঁকে ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটে বিএনপির কর্মীরা হত্যা করেছে। শামীম নামে অপর নিহত ব্যক্তি, যিনি ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে মারা গিয়েছেন তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে তাঁর বাবা ইউসুফ নিশ্চিত করেছেন।’
নাগরিক সমাজের বিবৃতিতে বলা হয়, `আরেক নিহত রফিক ভূঁইয়া (৭৩), বিএনপি যাকে পুলিশের হামলায় নিহত বলে দাবি করেছে, তাঁর মেয়ে ঊর্মি ভূঁইয়া মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা সহিংসতার মধ্যে ছিলেন না এবং রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় রিকশা থেকে পড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান।’
তাঁরা বলেন, `পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজ ২৮ অক্টোবর পল্টনে বিএনপি সমাবেশস্থলের কাছে বর্বরোচিত হত্যার শিকার হন এবং ২৯ অক্টোবর ভোররাতে ঘুমের মধ্যে বাসের হেলপার মো. নঈমকে পুড়িয়ে হত্যা করে বিরোধীদলের বিক্ষোভকারীরা।’
নাগরিক সমাজ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, “বিরোধীদলের কর্মী আব্দুর রশিদের মৃত্যু সম্পর্কে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি সংবাদপত্র দি ডেইলি স্টার লিখেছে, "বিএনপি কর্মীর নিচে পড়ে মৃত্যুবরণ।’’ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বেশিরভাগ মূলধারার গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২৯ অক্টোবর শহরের অপর প্রান্তে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর পালানোর সময় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
যুবদলের (বিএনপির যুব সংগঠন) কর্মী জিলু আহমেদ ৩১ অক্টোবর ঢাকা থেকে প্রায় ২৩৫ কিলোমিটার দূরে সিলেটের একটি মহাসড়কে বিএনপির সহিংস মিছিলে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর দ্রুতগামী মোটরসাইকেল একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় যোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
নাগরিক সমাজ উল্লেখ করেছেন, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বিল্লাল হোসেন ও রিফাত উল্লাহ বিএনপির প্রায় ১৫০০ জন উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীর মধ্যে ছিলেন। তাঁরা ভারি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে একটি সহিংস সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে ৩১ অক্টোবর আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের দুজনেরই মৃত্যু হয়।’
নাগরিক সমাজের বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে “আক্রমণক ” নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে নজিরবিহীন আক্রমণে গোটা জাতি স্তম্ভিত। প্রায় ৩৫ জন সাংবাদিককে আহত করার ঘৃণ্য ঘটনাও জাতিকে উদ্বিগ্ন করেছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত মুখোশধারী ও অন্য আক্রমণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং বিএনপির সঙ্গে তাদের সুস্পষ্ট যোগসূত্র পাওয়া গেছে।’
বিবৃতিদাতাদের ভাষ্য, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারার এবং কুপিয়ে হত্যা করার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছু আক্রমণকারী মুখোশ পরে ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অনুমান যে, মুখোশ পরা আক্রমণকারীরা ছিল ক্ষমতাসীন দলের লোক। তাদের এই অনুমান বিভ্রান্তিকর এবং বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।
উল্লেখ্য যে, সকল গণমাধ্যম ২৮শে অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের (বিএনপি) সদস্য-সচিব রবিউল ইসলামের “প্রেস” লেখা ভেস্ট পরে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি ও ভিডিও সহকারে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে, পুলিশ রড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করেছে। অথচ এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। বরঞ্চ দেখা গেছে, আক্রমণকারীরা অত্যন্ত সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ বিধি মোতাবেক শুধুমাত্র লাঠি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকাকে সমর্থন করেছেন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিবৃতিদাতারা। তাঁরা বলেন, ‘পুলিশের তল্লাশি অভিযান ও নির্বিচার গ্রেপ্তার নিয়ে অভিযোগ বিষয়ে আমরা মনে করি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৮ অক্টোবর সর্বোচ্চ ধৈর্য্য প্রদর্শন করেছে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা ওএইচসিএইচআর-কে অনুরোধ করছি, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সাংবদিকদের উপর ন্যাক্কারজনক আক্রমণ, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারা, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, কয়েক ডজন গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, বাংলাদেশ পুলিশের সেন্ট্রাল ও বৃহত্তম পুলিশ লাইনে হামলা করা, নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা ঘটনার তীব্রতা ও নিষ্ঠুরতা- এ বিষয়গুলি যেন সংঘটিত ঘটনার বিপরীতে গৃহীত ব্যবস্থা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়।’
এসব বিষয় সম্পর্কে তথ্য ও পরিসংখ্যান আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়কে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন বিবৃতিদাতারা।
নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিবৃতিদাতারা হলেন– অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ড. সারওয়ার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সদস্য কে.এইচ. মাসুদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সচিব ও কলামিস্ট মোহাম্মদ নুরুল হুদা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সদস্য উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, অভিনেতা ও মঞ্চ পরিচালক রামেন্দু মজুমদার, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক পুলিশ ও রাষ্ট্রদূত ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংস্কৃতিককর্মী নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, প্রাক্তন সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল হক খান, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, রাষ্ট্রদূত সুহরাব হোসেন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বি.পি), সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, রাষ্ট্রদূত একেএম আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, রাষ্ট্রদূত গোলাম মুহাম্মদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ সহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ, সাংবাদিক কাশেম হুমায়ুন, অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগমী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি, রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ইখতিয়ার মমিন, সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, সাবেক সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাদিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক, রাষ্ট্রদূত এটিএম নজরুল ইসলাম, সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, প্রাক্তন সচিব সুনীল কান্তি বোস, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, প্রাক্তন সচিব শমল কান্তি ঘোষ, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক সচিব ও পিএসসি সদস্য মো. ফজলুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. দিলওয়ার বখত, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও প্রাক্তন জেলা জজ জেসমিন আরা বেগম, অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিবিসি নিউজের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাচিপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সাবেক ডিজি অধ্যাপক ড. দ্বীন মুহাম্মদ নুরুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক ড. বোরেন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক কর্মী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থপতি ও লেখক ড. নিজাম উদ্দিন, রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এ মান্নান, অধ্যাপক ড. নুজহাত চৌধুরী, প্রফেসর ড. মামুন-আল মাহতাব, সাবেক মুখ্য সচিব ও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রশিদ আসকারী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাবেক সচিব ড. সেলিনা আফরোজ, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শামসুল আরেফিন, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় গত ৩১ অক্টোবর একটি বিবৃতি দেয়। কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে- ২৮শে অক্টোবর সহিংসতাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :