বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, কন্যা সন্তান কোন পরিবারের বোঝা নয়, তারা রাষ্ট্রের মালিক। কন্যা সন্তানদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার পেছনে প্রধান বাধা বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ রোধে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) পাবনার সাঁথিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সাঁথিয়া পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পীকার এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাল্যবিবাহরোধে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। বর্তমান সরকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা দুশ্যমান। সরকারের একার পক্ষে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা কঠিন। মালিক হিসেবে সমাজে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ধুমপান ও মাদকের বিস্তাররোধ করা জনগনের নাগরিক দায়িত্ব।
এছাড়া সরকার ধুমপান ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচীও গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাল্যবিবাহ দেয় তারা অপরাধী। অনেক অবিভাবক নিজের কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করে। কন্যা সন্তানও এই রাষ্ট্রের মালিক। তাঁদের শিক্ষার দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করেছে। সরকার তাদের জন্য বই দিচ্ছে, উপবৃত্তি দিচ্ছে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করছে।
এছাড়া রাষ্ট্র আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। উচ্চ শিক্ষার দ্বারও উন্মুক্ত রেখেছে, এবপর একজন ব্যক্তির বাল্যবিবাহ দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। কন্যা সন্তানদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজের সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ১৪ বছরে কারাগারের অন্তরালে কাটিয়েছেন। দুইবার ফাসির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি কখনও দেশ ছেড়ে পালান নাই। অধিকার আন্দোলনের লড়াইয়ে তিনি সবাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবাইকে একতাবদ্ধ করে ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মেূল ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সাঁথিয়া পৌর মেয়র মোঃ মাহবুবুল আলম বাচ্চু এর সভাপতিত্বে বেড়া পৌর মেয়র এস এম আসিফ শামস রঞ্জনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :