বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চরম রূপ নিয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। প্রায়শই এখানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন অপরাধের আতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে ডাকাতি, অপহরণ, মানবপাচার, হত্যা, মাদকসহ হেন অপরাধ নেই যা এখানে হচ্ছে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে যে হারে অপরাধ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠচ্ছে, তা প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় একরাতে প্রতিপক্ষের গুলিতে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অপর দু’জন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উখিয়া ১৭ নম্বার মধুর ছড়া ও জামতলির ১৫ নম্বর ক্যাম্পের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। পুলিশের দাবি, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছে, উখিয়ার ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো. জোবাইর (১৮), আনোয়ার সাদিক (১৭) ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পের কাশিম (৩৪)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা ১৫নং ক্যাম্পে চারজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের ব্লক জি-৩ ও ব্লক-৭-এর খালি জায়গায় গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় দুজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন।
সন্ত্রাসীদের আরসা বললেও নিহত ও আহতরা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) কি-না এ বিষয়ে কিছু বলেননি ওসি।
অন্যদিকে ১৭নং ক্যাম্পের ঘটনা নিয়ে ওসি শামীম হোসাইন জানান, কাশিমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কাশিম।
তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে ৪নং ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয় ইমাম হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। সে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা জি-১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :