বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সিলেট ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
রোববার সচিবালয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেট-১০নং কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমান ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরো একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে । ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, সিলেটে ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরো একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে ৮-১২-২৩ তারিখে টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায় যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘন্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর সাসটেইন করবে এবং গড় ভারিত মুল্য হিসেবে এর মুল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে।
উল্লেখ্য, দেশের খনিজ সম্পদ উন্নয়নে নতুন সংযোজন রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্যাসের জ্বালানি`র চাহিদা পুরণ এবং সিলেট সহ বৃহত্তর জৈন্তিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে সিলেট ১০ নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) বলে আশা প্রকাশ করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই গ্যাস কূপ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :