আবহাওয়া ভালো থাকায় ও বন্যার প্রভাব না পড়ায় এবার শেরপুরে জেলা আমনের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। চাষও হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
প্রায় ৩ লাখ টন চাল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
এ বছর জেলায় উফশী জাতের ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭১, ৭২ ও ৭৫ ধানের চাষ বেশি হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল এসব ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জাত তুলশীমালা, চিনিশাইল, পাইজাম ও কালোজিরা ধানও আবাদ করেছেন চাষিরা।
তবে বর্ষাকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিতেই কৃষকদের বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে। এছাড়া সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে।
চাষিরা বলেন, এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচও বেড়েছে। আর ভালো দাম না পেলে লাভ করা কঠিন হয়ে যাবে।
চলতি বছর জেলায় ৯২ হাজার ৯৮২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলা কৃষি বিভাগ। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩৭৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস একুশে সংবাদ কে বলেন, আশা করছি, এবার আমাদের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। আর বাজারে ধাানের দাম আছে, কৃষকরাও লাভবান হবেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :