জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত `শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র`-এর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।
সোমবার (১৮ সোমবার) পরিদর্শনকালে তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদে সম্পন্নের জন্য প্রকল্প পরিচালক, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় প্রকল্প পরিচালক মোছাঃ সুস্মিতা ইসলাম, গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান এবং সেখানে বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে তাঁর মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন `শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪.২৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের সংশোধিত মেয়াদ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত। গত ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দু`দিনের গোপালগঞ্জ সফরের শেষ দিনে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে `শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র`-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সহ ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর গত ১৬ জুন, ২০২৩ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর পিতার স্মৃতি সংরক্ষণার্থে গোপালগঞ্জস্থ পারিবারিক জমির উপর একটি আধুনিক গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন-কর্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভিত্তিক বই সংগ্রহের মাধ্যমে পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিবর্গসহ সর্বসাধারণের জন্য একটি আধুনিক বিশেষ গ্রন্থাগার ব্যবস্থা চালু করা। বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শৈশব, কৈশোর, পারিবারিক স্মৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন-কর্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা জানার সুযোগ সৃষ্টি করা।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :