ঢাকার তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনার দিনগত রাত ১১টা নাগাদ দিনাজপুরের বিরামপুরে রেল লাইনের ওপর স্লিপার ফেলে রেখে নাশকতার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় বিরামপুর রেল স্টেশনের আউটারে পার্বতীপুর থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসের লোকোমটিভ মাস্টার ও সহকারী লোকোমটিভ মাষ্টার রেল লাইনের ওপর স্লিপার দেখে তাৎক্ষণিক ট্রেনটি ব্রেক করে ট্রেন থামান। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তারা স্লিপার সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ধারণা, মঙ্গলবার রাত ১১টার আগেই বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে রেল লাইনের ওপর কয়েকটি স্লিপার রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসময় পার্বতীপুর থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সে স্থান অতিক্রমের আগেই লোকোমটিভ মাস্টার (চালক) আব্দুর রাজ্জাক ও সহকারী লোকোমটিভ মাস্টার (সহকারী চালক) সনেট মুন্সি রেল লাইনের উপর স্লিপার দেখে তাৎক্ষণিক ব্রেক কষে ট্রেনটি থামান। এতে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা বড় ধরনের দুঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান।
এই ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিরামপুর রেল স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রেললাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সকালে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে লাল পতাকা টানিয়ে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানটিতে ধীর গতিতে ট্রেন পারাপার করানোর সিদ্ধান্ত হয়।
গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে রাখলে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই ঘটনায় একজন নিহত হন। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় আগুনে পুড়ে চার জনের মৃত্যু হয়।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :