সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষে গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস, প্রশ্ন জালিয়াতি এবং পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবরে করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন এমএ লতিফ প্রধান ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে ডিপিইর ডিজির কাছে পরীক্ষার্থীদের করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ পরীক্ষার বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, ডিপিইর ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ফাতেমা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। রিটে নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, ডিপিইর ডিজি, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়।
এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই লিখিত পরীক্ষার ফল গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে কয়েকশ নিয়োগপ্রত্যাশী।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :