চট্টগ্রামে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নতুনভাবে তৈরির জন্য কিছুদিনের মধ্যে ডেনমার্কের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেনমার্কের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ডেনমার্ক সরকারের মধ্যকার জিটুজি চুক্তির আওতায় পিপিপি মডেলে এটি তৈরি করবে ডেনমার্ক ভিত্তিক এপিএম টারমিনালস। ৪৬ একর জমিতে এই টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে, যা দেশের অর্থনিতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ এবং ডেনমার্কের মধ্যকার জিটুজি চুক্তির আওতায় এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে হবে প্রকল্পটি। যা তৈরি করবে ডেনমার্ক ভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস। বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তায়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল এর দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০ মিটার, বার্থ গভীরতা হবে ১০ দশমিক ৫ মিটার এবং জাহাজের ড্র্যাফট হবে ৯ দশমিক ৫ মিটার। দক্ষ এবং টেকসই কন্টেইনার হ্যান্ডলিং পরিষেবাগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করার জন্য এ টার্মিনালকে উন্নত পরিষেবার যোগ্য করে তৈরি করা হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটিতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) হবে বিধায় এ বিনিয়োগ দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এ চুক্তি হতে বার্ষিক ফি ও রাজস্ব অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় বাড়বে। এছাড়াও প্রায় ১০০০ জনের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পিপিপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. মুশফিকুর রহমান। ডেনমার্কের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :