শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে শনিবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১৪ জেলার ২০টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে ভোটবর্জনকারীরা। আগুন দেয়া ভোটকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, নেত্রকোনায় ২টি, বরিশালে ২টি, শেরপুরে ১টি, পটুয়াখালীতে ১টি, মৌলভীবাজারে ১টি, হবিগঞ্জে ১টি, বরগুনায় ২টি, ফেনীতে ১টি, চট্টগ্রামে ১টি, শরীয়তপুরে ১টি, খুলনায় ২টি, গাজীপুরে ২টি, ময়মনসিংহে ২টি, টাঙ্গাইলে ১টি ভোটকেন্দ্র।
নেত্রকোনা-
নেত্রকোনায় কেন্দুয়া পৌরসভার পারভীন সিরাজ মহিলা কলেজ ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেতগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ করা হবে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ দুই কেন্দ্রে আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া সময় সংবাদকে জানান, ভোটকেন্দ্রের বারান্দার বাইরে কিছু খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এতে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কোনো সমস্যা হবে না।
নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া আটপাড়া) আসনের আটপাড়ায় ৫৩টি ও কেন্দুয়ায় ৯৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। তার মধ্যে দুটি কেন্দ্রে শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় হরতাল সমর্থনকারীরা।
এসময় কেন্দ্রের গেটের ভেতরে তারা আগুন জ্বালিয়ে নির্বাচন বর্জনের স্লোগান দিতে থাকে। আসনটিতে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ০০৪ ভোট। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৮ ও নারী ১ লাখ ৩১ হাজার ৫২০ জন। ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
বরিশাল-
বরিশাল নগরীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়সহ উজিরপুর উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক আওয়ামী লীগ নেতার মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক টুটুল চৌধুরী জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৈশপ্রহরী নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখেন। এ আগুনে নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পেট্রলের একটি বোতল পাওয়া গেছে।
শেরপুর-
শেরপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টোররুম থেকে আগুন বের হতে দেখেন তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত সময় সংবাদকে বলেন, কেন্দ্রের স্টোররুমের পেছনের জানালা দিয়ে দূর্বৃত্তরা আগুন দেয়। তবে এই ঘটনা নির্বাচনে ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারসংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৫১৮, নারী ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ১৩৭। মোট কেন্দ্র ১৪৪।
পটুয়াখালী-
পটুয়াখালী শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে শ্রেণিকক্ষের জানালা ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে তিন জোড়া বেঞ্চ পুড়ে যায়।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষ বন্ধ করে চলে যাওয়ার পরে আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর রাতে স্কুলের পূর্ব পাশের হলরুমে শ্রেণিকক্ষে জানালা ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। নৈশ প্রহরী প্রথমে দেখে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্কুলের হলরুমের তিন জোড়া বেঞ্চ পুড়ে যায়।
মৌলভীবাজার-
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের সাবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৌলভীবাজার-৩ আসনটি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৮৪ সালে মৌলভীবাজার-৩ নির্বাচনী এলাকা গঠিত হয়, যখন বৃহত্তর সিলেট জেলাকে বিভক্ত করে চারটি নতুন জেলা (সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ) গঠিত হয়েছিল। আসনটিতে ১৭৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯২। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪২ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭।
বরগুনা-
বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অগ্নিসংযোগের ঘটনা টের পেয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। ভোটকেন্দ্রে দুটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে দাবি পুলিশের।
অগ্নিসংযোগ করা ভোটকেন্দ্র দুটি হলো- বালিয়াতলী চরকগাছিয়া দাখিল মাদ্রাসা এবং একই ইউনিয়নের মধ্য আরপাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৮৮টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪০ হাজার ১৬০।
হবিগঞ্জ-
হবিগঞ্জ-৪ আসনের চুনারুঘাট পৌর এলাকার ধলাইপাড়ড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অগ্নিকান্ডে ভোট কেন্দ্রের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় চুনারুঘাট পৌরসভার ধলাইরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় জানান, ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিল্প-কারখানা ও চা বাগান অধ্যুষিত এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪। নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ জন। তৃতীয় লিঙের ভোট রয়েছে একটি।
ফেনী-
ফেনীর সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর চর সাহাভিখারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বিদ্যালয়টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনের একটি ভোট কেন্দ্র। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুর রহিম আজাদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার সময় সংবাদকে বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জেনেছি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব ও মামলা রয়েছে। আগুনের ঘটনায় এর কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে না বিষয়টি নির্বাচনী নাশকতা তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম-
শনিবার ভোরে বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ধুপপুল এলাকার নিশ্চিন্তাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, ভোরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আগুন লাগে। শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের পর কিছু অবশিষ্ট ছিল। তার মধ্যে ৭০টার মতো বই পুড়েছে। এতে কেন্দ্রের কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, কক্ষের বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল, জানালাও বন্ধ ছিল; কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শরীয়তপুর-
শুক্রবার রাতে নড়িয়া উপজেলায় ঘরিষার ইউনিয়নে চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনটি বেঞ্চ পুড়ে যাওয়া ছাড়া ভোটকেন্দ্রটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের জানালার গ্লাস ভেঙে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। কেন্দ্রটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
খুলনা-
শুক্রবার রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের টিপনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র এবং রূপসা উপজেলার বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে।
রূপসা থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর বলেন, বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়। তবে নৈশ প্রহরীর চিৎকারে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলায় সেখানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গাজীপুর-
শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় পূর্ব চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-আরেফিন এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বলেন, রাত সোয়া ১টার দিকে দুর্বৃত্তরা গাজীপুর মহানগরের পূর্ব চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষের একটি জানালা দিয়ে ভেতরে থাকা আলমারীতে পেট্রোল ও আগুন ছুড়ে পালিয়ে যায়। আগুন দ্রুত আলমারিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশন ও গাজীপুর-চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। আগুনে আলমারিতে থাকা বইপত্র ও প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
এ ছাড়া রাতের কোনো এক সময় বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দেওয়া হয় বলে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইফতেখার রায়হান জানান।
ময়মনসিংহ-
শনিবার ভোরে গফরগাঁও উপজেলায় গফরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং সকাল ৯টার দিকে নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, পরশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছে, নাকি নাশকতা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল-
টাঙ্গাইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্দিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে একটি পরিত্যক্ত ঘরে শনিবার সকাল ৬টায় আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল আনাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ভবনটির একটি দরজা পুরোপুরি ও আরেকটি দরজা আংশিক পুড়ে গেছে।
তিনি জানান, সকালে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী অগ্নিসংযোগের খবর দেন। তখন তারা এসে দেখতে পান বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ওই ভবনের দুটি দরজায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পরে তারা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :