দেশে ৩২ লাখ কোটি ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্রে পড়ে আছে এক লাখ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এই গ্যাসক্ষেত্রের পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হলে এই খাতে নতুন দিগন্তের উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৪৬টি গ্যাস কূপ খনন, পুনঃখনন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দৈনিক ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে তিনটি কোম্পানি।
এদিকে ১৮ বছর ধরে গ্যাস জ্বলছে টেংরাটিলার ঘরে ঘরে। বিনামূল্যের এই গ্যাসপ্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছে বিদেশি কোম্পানি নাইকো। ২০০৩ সালে সরকার গ্যাস উত্তোলনের জন্য কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো ও বাপেক্সকে টেংরাটিলা কূপ খননের অনুমতি দেয়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি দেশ স্বাধীনের পর সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের হাতে ন্যস্ত হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস এই কূপ থেকে উত্তোলন হয়। পরে ১৯৮৬ সালে এই কূপটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।
নাইকো খননকাজ শুরু করলে তাদের অদক্ষতায় ২০০৫ সালের জানুয়ারি ও জুন মাসে পরপর দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে টেংরাটিলাসহ আশপাশের ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কূপ খননের জন্য মাঠ রেঞ্জ বা ডেপথ যা নির্ধারণ করা হয় তা অনেক সময় আশঙ্কাজনকভাবে বিবেচনা করা হয়। তারপরও সাবধানতায় ব্যর্থ হলে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় তাই ঘটেছিল।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এই গ্যাস ক্ষেত্রে এখন অনেক গ্যাস মজুত আছে। মজুত গ্যাস উত্তোলনে আগ্রহী সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি।
আপনার মতামত লিখুন :