রাজশাহীর তানােরে আলুর গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। যেনো দম ফেলার সময় নেই কৃষকদের।
বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, পৌর এলাকায় ধানতৈড় গ্রামের পশ্চিম গুবিরপাড়া সেন্দুকাই এলাকার উত্তর তানাের থেকে মুন্ডুমালা যাবার রাস্তার দু`পাশে কাশিম বাজার কালিগঞ্জ সরনজাই নারায়নপুর আড়াদিঘী লালপুর কৃষ্ণপুর চিমনা আলুর মাঠে গাছ পরিচর্যায় ব্যাপক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
বিস্তর্ণ দিগন্ত জােড়া আলুর মাঠে তাকালেই চোখ যায় যতদূর সাদা মাটির উপরে শুধুই সবুজের সমারহ। প্রতিটি জমিতে আলুর সবুজ গাছ শােভা পাচ্ছে। সেই গাছে দিচ্ছেন সেচ কেউ বা প্রয়ােগ করছেন কীটনাশক। উপজেলার প্রতিটি মাঠে লাগানাে হয়েছে আলু। যারা ৩ থেকে ৫ বিঘার জমির মালিক তারা আলু চাষ করে কােন রকমে বেঁচে আছে। বেঁচে থাকতেই হবে। পেটে খাবার দিতেই হবে।
তানোর পৌর এলাকার সেন্দুকায় গ্রামের চাষি বুলবুল আহমেদ তিনি রবি শস্য থেকে শুরু করে সব রকমের চাষাবাদ করে থাকেন। এবার তিনি ২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। তিনি জানান, টেন্ডার নেয়া পুরাে জমি। তাই খরচও বেশি। প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা করে খরচ হবে। কীটনাশক থেকে শুরু করে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সব জিনিসপত্রের অধিক দাম। ৪০ থেকে ৫০ দিন আলুর বয়স হলেও আবহাওয়া প্রচন্ড ঠান্ডা না হওয়ায় এক প্রকার শঙ্কায় ছিলাম। তবে গত দুই দিন থেকে আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করেছে।
তার মতাে একই কথা জানান, গুবির পাড়া গ্রামর আলু চাষি কিতাব আলী। তিনি এবার টেন্ডারে ৯বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। তিনি জানান, আলুর বয়স ৩০ দিন হয়েছে। গাছও বের হয়েছে মাটামুটি ভালােই। তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত আলুর জমি দেখভাল করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবার ৯হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। আবহাওয়াও অনুকূলে আছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :