মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হেফাজত থেকে বাংলাদেশি ১৫ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় তাদেরকে হেফাজতে নেয় মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে আনে কোস্ট গার্ডের একটি দল।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। এতে বলা হয়েছে, গত তিন জানুয়ারি চট্টগ্রামের আনোয়ারার গহিরা উপকূল থেকে মা-মণি নামে একটি ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। এতে ১৫ জন জেলে ছিলেন। চার জানুয়ারি ইঞ্জিন শ্যাফট ভেঙে ট্রলারটি বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে।
এরপর দশদিন ধরে বোটটির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরে রোববার মিয়ানমারের একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে ভাসমান বিকল ট্রলারটিকে দেখতে পেয়ে সেটি টেনে মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমায় নিয়ে যায়।
নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর কালু মাঝি নামে একজন তখন ট্রলার মালিককে ফোন করে জানান, যে তারা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজতে আছেন। এরপর ট্রলার মালিক ওবায়দুল হক রোববার রাতেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ করেন।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এর কল গ্রহণকারী কনস্টেবল নোবেল দাস কোস্ট গার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ডকে দ্রুত বিষয়টি জানান এবং উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।
সংবাদ পেয়ে সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমায় যান এবং মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজত থেকে ১৫ জন জেলেসহ বিকল ট্রলারটি উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন নিয়ে আসে।
আর উদ্ধারের পর এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য ৯৯৯-এ ফোন করে অবহিত করে সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড।
৯৯৯-এর ডেসপাচার পরিদর্শক জয়ন্ত চৌধুরী উদ্ধার সহায়তা চাওয়া ট্রলার মালিক এবং উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সার্বিক হালনাগাদ তথ্য নেন।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :