নাশকতা ঠেকাতে প্রযুক্তির চোখে আস্থা রাখছে রেলওয়ে। প্রাথমিকভাবে ৫টি ট্রেনে লাগানো হয়েছে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা। তবে যাত্রীরা বলছেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে সেবা ও নিরাপত্তা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেন শনির দশা দেখা দেয় রেলে। লাইন কেটে ফেলা ও ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রাণ যায় ৮ জনের। ক্ষতি হয় কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে কথার লড়াই চললেও, এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে দুর্বৃত্তরা। নাশকতা রোধে অবশেষে বসেছে প্রযুক্তির চোখ। পাঁচটি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। তবে যে যাত্রী নিরাপত্তায় এতসব আয়োজন, কী বলছেন তারা?
যাত্রীরা জানান, বাড়তি টাকা উপার্জন করতে হয়তো দুষ্কৃতিকারীরা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়া যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশ বসবাস করছি তাই ক্যামেরা বসানো আমরা পজিটিভভাবেই দেখছি।
এদিকে রেলের নিজস্ব কোনো আইটি বিভাগ না থাকায় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে লাগানো হয়েছে এ সব ক্যামেরা। ডাটা সার্ভারে থাকবে, অন্তত ৭ দিন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান বলেন, আমাদের ডাটা স্টোর হয়ে থাকবে। এছাড়া লাইভ দেখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
তবে নাশকতার মূল হোতাদের ধরাই মূল লক্ষ্য মনে করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, শুধু সিসি ক্যামেরা বসালেই নাশকতাকারীদের ধরা যাবে না। কারণ এখনকার নাশকতাকারীদের যে টেকনিক তা শুধু ক্যামেরার মাধ্যমে ধরার যাবে না। তবে যারা এই নাশকতার জন্য ভাড়া করছে তাদের ধরা যাবে। নাশকতাকারীরা ইসরায়েলে গোত্র। মূলত পেছনের লোকগুলোকে সামনে এনে এদেরকে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
যাত্রীরা বলছেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে সেবা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :