ডলার সংকটের কারণে দেশে সার আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে যোগ হয়েছে গ্যাস সংকটের কারণে সার কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা। তবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, দেশে সারের কোনো সংকট নেই।
রোববার (২১ জানুয়ারি) শিল্পমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো সার সংকট নেই। এছাড়া গ্যাস সংকট সার উৎপাদনে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
শিল্পমন্ত্রী সংকট নেই বললেও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) শিল্প মন্ত্রণালয়কে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সার আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় আমদানি ব্যহত হচ্ছে। এলসি খুলতে না পারলে দেশের সার সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে চিঠিতে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে গত কয়েকদিনের গ্যাস সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রামের সার কারখানাগুলো। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল থেকে গ্যাসের সংকট কাটতে শুরু করলেও এখনো কারখানাগুলো পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি বলে জানা গেছে। মূলত গ্যাস আসলেও প্রবাহ কম থাকায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
গ্যাস সংকটের কারণে বিগত কয়েকদিন যমুনা সার কারখানা এবং চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানা বন্ধ থাকলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হচ্ছে, এতে করে আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। উল্টো বাংলাদেশ ক`দিন পর সার রফতানি করবে।
জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে জানা যায়, ইরি-বোরো মৌসুমে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিওপি সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। সারের উৎপাদন এত বেশি হলে দাম কমানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ সার উৎপাদন হলেও দাম কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :