নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানির সাথে সহাবস্থান নিশ্চিত করেই বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টার অভিমুখিতা সম্পর্কে প্রদত্ত বিভিন্ন নির্দেশনা তাৎপর্য এবং তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মধারা সম্পর্কে আলোচনার জন্য এক কর্মশালায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ব-দ্বীপ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথের পথনকশা তৈরি করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ একটি ভাটির দেশ হওয়ায় হিমালয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রবাহিত হয়ে অসংখ্য নদী আমাদের দেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। সে জন্য পানি উন্নয়ন কার্যক্রম সঠিক ব্যবস্থাপনায় থাকা অপরিহার্য।’
কর্মশালয় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক উন্নয়ন গবেষণা প্রধান ড. নজরুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ঢাকার আশপাশের খালগুলো পুনরুদ্ধার করে সেখানে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার ফলে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হয়েছে।’
মন্ত্রী এ সময় দেশের নদ-নদীর ওপর নির্মিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সেতু ফিজিবিলিটি স্টাডি করে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, ‘হাইড্রলজিক্যাল এবং মর্ফোলজিক্যাল বিশ্লেষণ করে সেতু নির্মাণের ফলে নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন আর কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে না। গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ করার সময় পানির প্রবাহে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তার পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/ক.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :