আগামীকাল শুক্রবার (২ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ফজর নামাজের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জোহরের নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক। এছাড়া আছরের পর বয়ান করবেন মাওলানা ফারুক ও মাগরিবের পর মাওলানা ইব্রাহীম।
প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করবেন- মাওলানা আহম্মেদ বাটলার, সকাল ১০টায় তালিম করবেন মাওলানা জিয়াউল হক, জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা যোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের খতিব ওমর, আছরের পর মাওলানা যোবায়ের ও মাগরিবের পর মাওলানা আহম্মেদ লাট বয়ান করবেন।
এভাবেই আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা বয়ান করবেন বলে জানা যায়।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার বিদেশি খিত্তায় দায়িত্বরত একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ এ আয়োজনে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩৬ দেশের ৭৫৯ জন বিদেশি অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। ৩৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে- ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিস্তান, সিঙ্গাপুর, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ইতালি।
বিদেশিদের জন্য বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইজতেমা প্রশাসন। বিদেশিদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ-র্যাবসহ সব বাহিনীর উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশিদের থাকা, খাওয়া ও ভ্রমণের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমার আয়েজকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ১০টি জামাত। এসব জামাত ইজতেমা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে।
গোডাউন জামাতের জিম্মাদার মাওলানা শিহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষ থেকে মোট ১০টি বিভাগ করা হয়েছে। ১০টি বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করবে নজমওয়ালী জামাত। ১০টি জামাত হল, পাহারা জামাত, এস্কেবাল (অভ্যর্থনা) জামাত, জুর্নেওয়ালী জামাত, পানির জামাত, বিদ্যুৎ জামাত, মাইক জামাত, সাফাই জামাত, রিজার্ভ জামাত, গোডাউন জামাত ও নজমওয়ালী জামাত। নজমওয়ালী জামাতে বর্তমানে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম ৬ সদস্য।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজকদের প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান জানান, প্রতিটি জামাতে শতাধিক লোক থাকবে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা কাজ করবে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরবর্তী চারদিনের বিরতির পর ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :