মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক লড়াই চলছে। মিয়ানমারের এই সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রভাব বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়ও পড়েছে। তাদের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়ছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনস্থ উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।
পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনোভাবেই একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকতে দেবো না।
তিনি বলেন, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার ইস্যু নিয়েই কাজ করছি। আমরা ধৈর্য ধারণ করে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীও ধৈর্য ধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। ২০২১ সালে ক্যুর মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :