সিটি কর্পোরেশনের কোন কাউন্সিলের পদ শূন্য হলে সেখানে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর দায়িত্ব পাবেন। এমন বিধান রেখে `স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২৪`-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগে যেটা ছিল কোন কাউন্সিলর যদি অনুপস্থিত থাকতেন বা যদি উনি বিদেশে যান বা শুন্য হতো কোনো কারণে, পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওটার দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু এখন যেটা করা হয়েছে যদি শূন্য হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তখন ওখানকার যে সংরক্ষিত আসনের যিনি কাউন্সিলর আছেন, তাকে ঐ দায়িত্বটি দিতে হবে, সেই বিধানটি আসছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছরের শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে এই আইনটি উপস্থাপন হয়েছিল এবং তখন এটিকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সেটি উপস্থাপন করা হলে তখন সংসদে নেয়ার প্রসঙ্গ ছিল কিন্তু তখন তারা বাকি প্রসেস করে সংসদে নিতে পারেনি। এজন্য এই সংসদে উপস্থাপন করার জন্য ওনারা আবার মন্ত্রিসভায় উঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিসভা সেটি সামান্য একটু ইয়ে (সংশোধন) করে অনুমোদন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এখন ওয়াসা থেকে সিটি কর্পোরেশনে চলে আসছে। এই পুরো কাজটিকে আনার জন্য যে পরিবর্তন দরকার, সেটা এখানে আনা হয়েছে।
আরো কয়েকটি বিষয় আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের আইনে ছিল যে একটি সিটি কর্পোরেশন গঠিত হলে বা বিদ্যমান সিটি কর্পোরেশনের কি এরিয়া হবে সেটি একটি তফসিল ভুক্ত ছিল। এবার বলা হচ্ছে তফসিলভুক্ত না করে সরকার গেজেট দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে। সে বিধানটি এখানে রাখা হয়েছে।আগে ছিল একজন মেয়র কিংবা কাউন্সিলর রা বছরে তিন মাস পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারতেন অনুমতি নিয়ে এখন সেটি করা হয়েছে এক মাস৷ আরেকটি আসছে সেটি হল যে আগে ছিল একটা কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এখন যেটা পরিবর্তন আসছে সেটা ৯০ দিন দিনের মধ্যে করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন যে রকম আছে আইনে তারা প্রথম যেদিন কর্পোরেশনের সভা হয় সেখান থেকে পাঁচ বছর এটা বলবৎ থাকবে। এরপরে নতুন যে নির্বাচিত মেয়ররা শপথ নেয়ার পরে তারা ১৫ দিনের মধ্যে কর্পোরেশনের সভা আহবান করবে এবং যেদিন কর্পোরেশনের সভা সেদিনই আগেরটা বিলুপ্ত হবে এবং এটা কার্যকর হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রত্যেকটা সিটি কর্পোরেশনে এখনকার আইনে প্রায় ১৪টি কমিটি গঠন করার কথা বলা আছে, বিভিন্ন টাইপের কমিটি আছে। এখানে আরো সাতটি কমিটি যোগ করা হয়েছে, যোগ করে সে সুযোগটা রাখা হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের সচিবকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে বলে তিনি।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :