স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চলতি অর্থ বছরের (২০২৩-২০২৪) গত ৬মাস (ডিসেম্বর ২০২৩) পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার নয়শ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার নয়শ তিন টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। চলতি অর্থ বছরের (২০২৩-২০২৪) গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রায় পাঁচ হাজার নয়শ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার নয়শ তিন (৫, ৯০০, ৫৪, ৫৬, ৯০৩) টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। যেসব দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানি করা হয় সেই দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, আজারবাইজান, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইরান, জর্ডান, জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ম্যাকাও, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, তাইওয়ান, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, লেবানন, কুয়েত, কাতার, ওমান, উপসাগরীয় দেশগুলো (জিসিসি), তুর্কমেনিস্তান কাজাকিস্তান, বাহরাইন, ব্রুনাই দারুস সালাম, দুবাই, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া।
এছাড়াও বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রাশিয়া, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, বুলগেরিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া, ফিনল্যান্ড, ট্রান্সনিস্ট্রিয়া, জর্জিয়া, সাইপ্রাস কসোভো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সান মারিনো, অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, পালাউ আলজেরিয়া, বুর্কিনা ফাসো, বতসোয়ানা, চাদ, মিশর, গ্যাবন, কেনিয়া, লিবিয়া, লাইবেরিয়া লেসোথো, মরিশাস, নাইজেরিয়া, মালাউই, মালি, সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সোয়াজিল্যান্ড, সেচেলেস তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, টোগো, উগান্ডা, সিম্বুরেইন রিত্রিয়া, জ্যামাইকা, লাওস মৌরিতানিয়া, কঙ্গো, সোমালিল্যান্ড, জাম্বিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, বার্বাডোস, হাইতি আর্জেন্টিনা, বেলিজ, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, চিলি, ইকুয়েডর, গুয়েতিমালা, গায়ানা, মরক্কো, মন্টিনিগ্রো, নিকারাগুয়া, পানামা, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, ভেনেজুয়েলা, ভানুয়াতু, পেরু, সুরিনাম, কুরাকাও, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানিতে উৎসাহ দিতে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে এবং চলতি বছরও ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিদেশে রপ্তানি উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারীদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানির জন্য ৮ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে সার্কুলার জারি হয়েছে।
বিগত বছরে দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :