বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে আরাধনার দিন আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এক হাতে বীনা আর অন্যহাতে বই, সঙ্গে বাহক রাজহাস- এই রূপে দেবী সরস্বতী এসেছেন শিক্ষার্থীদের বিদ্যা, জ্ঞান আর সুরের বরদান নিয়ে। মাঘ মাসের পঞ্চম তিথিতে করা হয় এই বিদ্যার দেবীর আরাধনা।
সকাল থেকেই নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সরস্বতী পূজার আয়োজন। বিদ্যার্থীদের জন্যই মূলত এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা করা হয়ে থাকে। তবে তা শুধু সনাতন ধর্মানুসারীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। জাতি, ধর্ম, বয়স নির্বিশেষে সকলেই শামিল হন এই আয়োজনে।
সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে। সরস্বতী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে।
এ দিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করবেন। দিনটিতে শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। সকাল ৯টায় পূজা শুরু হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বড় পূজার আয়োজন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল খেলার মাঠে। সেখানে ৭২টি পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। হল প্রশাসন জানায়, মাঠে ৬৯টি, কেন্দ্রীয়ভাবে ১টি, হলের পুকুরে ১টি ও কর্মচারীদের ১টিসহ মোট ৭২টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন হয়েছে।
পূজা উদযাপন বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা জানান, এবারের পূজা একটু বিশেষ। পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসও একদিনে পড়েছে। অন্যদিকে নতুন সংযোজন মেট্রোরেল চালু হওয়াতে আশা করছি আরও বেশি পূণ্যার্থী-দর্শনার্থী পূজা দেখতে আসবেন।
জগন্নাথ হল ছাড়াও মেয়েদের পাঁচটি হলে আয়োজন করা হয়েছে পূজার। সব মণ্ডপে পূজা শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। এরপর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলবে অঞ্জলি।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :