বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে প্রাণভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩৩০ বর্ডার গার্ড পুলিশকে (বিজিপি) বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বিজিবি`র সার্বিক তত্ত্বাবধানে নৌবাহিনী জেটিঘাটে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ ৩৩০ জন মিয়ানমার নাগরিককে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় জান্তা বাহিনীর সঙ্গে জাতিগত বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে বিজিপিসহ ৩৩০ জন।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ চলছেই। কখনো থেমে থেমে, কখনো অনবরত গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কিছু জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। তবে ওপারের গুলি-মর্টার শেল এখন আর এপারে আসছে না। এতে এক ধরনের স্বস্তি বিরাজ করছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে।
স্থানীয়রা বলেন, গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ওপারে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে এপারের মানুষ স্বস্তি নিয়ে ঘুমাতে পেরেছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, গত শনিবারের পর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারে গুলি ও মর্টার শেল উড়ে আসেনি। তবে ওপারের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। কিছু এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
একুশে সংবাদ/স.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :