মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির জান্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলা লড়াইয়ে গুলিবর্ষণের পরিমাণ আপাতত থেমেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর্যন্ত কোনো গোলাগুলি বা ভারি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও তাদের আতঙ্ক কাটেনি। তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সীমান্তরক্ষীসহ ১৫৮ নাগরিককে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রের ৫০২ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা এখনো খোলেনি। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়ে গেলে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।
বিজিবির সূত্র জানায়, সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতকারী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বিজিবি। তুমব্রু সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
ঘুমধুম বাজার পাড়ার বাসিন্দা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস বলেন, গত একমাস ধরে মায়ানমারের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। শুক্রবার ভোর থেকে কোনো গোলাগুলি হয়নি। যার কারণে আজকে অনেক ভালো ঘুম হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীসহ ১৫৮ নাগরিককে হস্তান্তরের পর সীমান্ত এলাকা শান্ত রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও কাজ করছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :