বর্তমানে দেশের আদালতগুলোতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব তথ্য জানান।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুসারে মাদকসহ আটক হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। এ বিধানের আলোকে অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আলোকে মহানগর দায়রা জজ, দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য এক বা একাধিক এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করার বিধান রাখা হয়। বর্তমানে এ বিধানের আলোকেই আদালতে মাদক মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সরকার দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের জনবল পর্যাপ্ত না থাকায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত তিন মেয়াদে পুলিশের ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন দেশ ও মানদণ্ড তুলনায় পুলিশের জনবল বৃদ্ধির কাজ চলছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও সেবাপ্রার্থীদেরকে সহজে পাসপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে পাসপোর্টের জন্য আবেদন দাখিল, পাসপোর্ট ফি পরিশোধ অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :