AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাবলম্বী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০১:১০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাবলম্বী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি।

শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে স্থানীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নে বরাদ্দ দেবে, কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাবলম্বী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণসহ বিভিন্ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অনেক দায়িত্ব আছে। সরকারি কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকরি করে, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয়। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা রক্ষা করুন। কমিশনের কথা চিন্তা করে প্রকল্প নেয়া যাবে না। জনগণ ও প্রকৃতি-পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই প্রকল্প নিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় করে কাজ করতে হবে।

এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে উল্লেখ করে সমন্বিত চাষাবাদ বা সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করলে জমির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। সবার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতিটি গ্রামে মাস্টারপ্ল্যান করে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা করতে হবে। যেন স্বাস্থ্যকরভাবে মানুষ বাঁচতে পারে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ, একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা করবে, তবে স্থানীয় সরকার স্থানীয়ভাবেই দেশের উন্নয়ন করবে বলেনও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের আস্থা-বিশ্বাস যারা অর্জন করতে পারে না, ভোটে তারাই ব্যর্থ হয়। এ সময় দেশে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মানুষের আয় বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে যথাযথ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে ভূমির কার্যকর ব্যবহার করতে হবে। সার্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত হলে উপকৃত হবে সবাই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ঠিক রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খেয়াল রাখতে হবে। পানি দূষিত হলে দোষ হয় সরকারের। সরকারি কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকুরে। তাদের তো জবাবদিহিতা নেই। কিন্তু আমরা যারা জনপ্রতিনিধি, তাদের তো দায় এড়ানোর উপায় নেই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয়দের খোঁজখবর রাখবেন। কারণ তাদের আস্থা-বিশ্বাসই আপনাকে প্রতিনিধি বানায়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগণকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বুদ্ধি শুনে অযথা বা যেনোতেনো প্রকল্প নেবেন না। কারণ আপনার এলাকার প্রয়োজন আপনাকেই ভালো করে জানতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে সমাজ রক্ষায় বিশেষ যত্নবান হয়ে কাজ করতে হবে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের।

গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে। অহেতুক প্রকল্প নেবেন না। সুপেয় পানির পুকুরের পাশে কেন বর্জ্য ফেলার জায়গা বানাতে হবে? তাহলে তো প্রকল্প কাজে আসবে না। জলাধার ভরাট করে ভবন যাতে নির্মাণ না করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, অচিরেই কৃষি সেচ ব্যবস্থা পুরোপুরি সৌর বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন, তাদের বিদ্যুৎ বিল অন্যদের চেয়ে বেশি হবে। অর্থাৎ তাদের বিদ্যুতের রেট অন্যদের চেয়ে বেশি হবে। নির্দিষ্ট ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারে কম বিল দেবেন স্বল্প আয়ের ব্যবহারকারীরা।


একুশে সংবাদ/ম.ন.প্র/জাহা

Link copied!