রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট ছিল আজ শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ছোট বোন আলিসার জন্মদিন উপলক্ষে তার খালাতো বোনসহ তাদের এক আন্টির সঙ্গে দেখা করতে বের হয়। যাবার আগে বলেছিল বাবা আমরা তাড়াতাড়ি ফিরব। একথা বলেই কেঁদে উঠেন কোরবান আলী। তার মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজী কোরবান আলীর দুই মেয়ে। ফৌজিয়া আফরিন রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় মারা গেছে, রিয়া ও আলিশার খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। নিমু সদর উপজেলার হাতিগড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। সন্ধ্যায় বের হয়ে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গিয়েছিলেন।
রিয়া ও আলিসার বাবা কুরবান আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে আজ রাতে আমার সাথে মালেশিয়ায় যাওয়ার কথা। ছোট বোন আলিশার জন্মদিন উপলক্ষে বাসা থেকে বের হয়। এর মাঝে তাদের এক আংটির সঙ্গে দেখা করে ওই রেস্টুরেন্টে যায়। তার পর থেকে আর খোঁজ পাইনি। রাতে তাদের খালাতো বোন নিমুর বাবার মাধ্যমে জানতে পারি তারা সবাই ওই ভবনে আটকে আছে।
নুসরাত জাহান নিমুর বাবা আব্দুল কদ্দুস বলেন, ‘আমার মেয়ে সিটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে তার খালার বাড়ি কাকরাইলে থাকে। সন্ধ্যায় খালাতো বোনদের সাথে বের হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় নিমু ফোন করে আমাকে জানায় রেস্টুরেন্টের ভিতরে আটকে আছে। কান্নার স্বরে বলে বাবা বাঁচাও আমাদের। এইটা আমার শেষ কথা ছিল আমার মেয়ের।’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :