চলতি বছরের এপ্রিলে শেষ হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচক। আগামী অক্টোবর থেকে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে নতুন এই টার্মিনাল।
তবে, এর ব্যবস্থাপনায় কারা থাকবেন, তা দ্রুত ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নান্দনিক এই টার্মিনালের কাজ শেষ হতে সময় লাগছে চার বছরের কিছু বেশি।
আগামী ৫ এপ্রিল তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। তাই ৬ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। এরই মধ্যে সিস্টেম সমন্বয়ের কাজ শেষ হয়েছে। যা একাধিক যাচাই-বাছাইয়েও উত্তীর্ণ হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল এখন ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য প্রায় প্রস্তুত।
বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান জানান, অক্টোবরে টার্মিনালটি পুরো চালু হলে, দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো কার্যক্রম চালাবে বলে।
তৃতীয় টার্মিনালের তিনতলা ভবনে থাকছে- ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ও ৬৪টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৪০টি স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি ক্যারোসেল ও ১১টি বডি স্ক্যানার।
তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখা যাবে। রানওয়েতে উড়োজাহাজের অপেক্ষা কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে। এতে আরো বেশি বিমান উঠানামা করা যাবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালের সঙ্গে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান যুক্ত হবে। এছাড়া টার্মিনালে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৬ হাজার দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৪ হাজার কর্মীর প্রয়োজন হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনালটি আংশিক ব্যবহারের জন্য খুলে দেন। ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/ই.র.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :