বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা নাম সংশোধনের আবেদন করেছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে বৃষ্টি খাতুন নামের পরিবর্তে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে তার আবেদনটি এখনো ‘গ’ ক্যাটাগরিতে পড়ে আছে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৃষ্টি খাতুন এনআইডি সংশোধনের জন্য ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি নামের পাশাপাশি পিতার নাম সবুজ শেখের পরিবর্তে মো. শাবরুল আলম এবং জন্ম তারিখ ১৯৯৮ সালের ৯ মার্চের পরিবর্তে ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সংশোধন চান।
এনআইডি সংশোধনের আবেদনের সঙ্গে তিনি ২০২২ সালের নিবন্ধন করা জন্মসনদ, পিতার এনআইডি, নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করেছেন। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী যে জন্মসনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেটি ভুয়া ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।
তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নানা জটিলতায় এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হবে না।
মরদেহটি এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে রয়েছে।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবরে কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এরপরই বাধে বিপত্তি।
সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী।
পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে শুক্রবার (১ মার্চ) ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :