প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্ত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করেছি। যেভাবে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চাই, সেরকম বিজিবিও হবে স্মার্ট বাহিনী।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নি-সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি- এটাই আমার প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক, নারী-শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। আমাদের দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী হলো বিজিবি। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, সেই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখনও বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আজকে যারা বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এভাবেই আপনারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন। যেন আমরা এই পদক আরও বেশি বেশি দিতে পারি। শৃঙ্খলা একটি বাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।
এসময় সীমান্ত সুরক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিজিবিকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে। আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।
বিজিবি দিবসের এ অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২জন বিজিবি সদস্যকে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন সরকারপ্রধান।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :