আগামী এপ্রিল মাসে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমরা ৯০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে। এছাড়া জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি বা তরলীকৃত গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। এজন্য ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে পাওয়ার ট্রেড গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে।
এছাড়া সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতিমাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য বলেও মত দেন জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বায়ু ফুয়েল নিয়েও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়াটি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে।
বৈঠকে হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি, আর-এলএনজি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা, ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনারের মধ্যে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :